সোমবার, ৬ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, সন্ধ্যা ৭:২২

শিরোনাম :
কথা দিচ্ছি আপনাদের সেবায় আমি সর্বদা পাশে থাকবো : চেয়ারম্যান প্রার্থী এসএম জাকির হোসেন উপজেলার উন্নয়নে আপনাদের পাশে আমি সর্বদা রয়েছি -ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী জসিম উদ্দিন মোটরসাইকেল প্রতিকের চেয়ারম্যান প্রার্থীর সমর্থকদের ওপর হামলা, আহত-২ সদর উপজেলায় চেয়ারম্যান প্রার্থী হওয়া কে এই জাকির হোসেন প্রচার-প্রচারণায় ভোটারদের মন জয় করছেন ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী জসিম যারা আমার জন্য কাজ করেছে আমি তাদের রেখে কখনো পালিয়ে যাইনি-এসএম জাকির হোসেন রেমিটেন্স আহরণে রূপালী ব্যাংকের ২ দিন ব্যাপী ক্যাম্পেইন সম্পন্ন সদর উপজেলা নির্বাচনে ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী জসিম উদ্দিনের মনোনয়ন বৈধ ঘোষনা বরিশালের দুই উপজেলায় বৈধতা পেলেন ২৫ প্রার্থী ঝালকাঠিতে বেপরোয়া ট্রাক কেড়ে নিল ১৪ প্রাণ
সহপাঠীদের সামনে শিক্ষার্থীর চুল কেটে দিলেন শিক্ষক:স্কুলে যাওয়া বন্ধ শিক্ষার্থীর

সহপাঠীদের সামনে শিক্ষার্থীর চুল কেটে দিলেন শিক্ষক:স্কুলে যাওয়া বন্ধ শিক্ষার্থীর

dynamic-sidebar

বাউফল প্রতিনিধি ॥ অফিস কক্ষে ডেকে নিয়ে সহপাঠীদের সামনে চুল কেটে দেয়ার পর স্কুলে যাওয়া বন্ধ হয়ে গেছে রাকিব হোসেন নামের এক শিক্ষার্থীর। রাকিব পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলার রাজাপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী। সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, গত ৩০ জানুয়ারি ওই বিদ্যালয়ের শ্রেণি শিক্ষক কামরুল হাসান দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী রাকিব হোসেনকে অফিস কক্ষে ডেকে নেন। একই সময় তার সহপাঠীদের ডেকে নিয়ে সকলের সামনকে কাঁচি দিয়ে রাকিব এর চুল কেটে দেন। ঘটনার পর থেকে লজ্জায়- অপমানে স্কুলে যাওয়া বন্ধ করে দেয় রাকিব। রাকিবের চাচা ১৬ নং রাজাপুর বোর্ড সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নৈশ প্রহরী-কাম-দপ্তরি জাকির হোসেন জানান, ক্রিকেটারদের স্টাইলে চুল রাখার অপরাধে ক্ষুব্ধ হন শ্রেণি শিক্ষক কামরুল। ঘটনার দিন কাসে যাওয়ার পর রাকিবকে অফিস কক্ষে ডেকে নেন তিনি। এরপর অন্যান্য শিক্ষক ও সহপাঠীদের সামনে তার চুল কেটে দেয়া হয়। চুল কেটে দেয়ার পর সহপাঠীরা তাকে নিয়ে হাসি ঠাট্টায় মেতে ওঠে। এই অপমান সইতে না পেরে রাকিব স্কুলে যাওয়া বন্ধ করে দেয়। রাকিবের বাবা হানিফ হাওলাদার বলেন, ‘আমার ছেলে কোন অন্যায় করলে শিক্ষকরা আমাকে অবহিত করতে পারতেন। স্কুলে যাওয়ার পর এভাবে সকলের সামনে রাকিবকে অপমান করা ঠিক হয়নি। এখন আবার বিদ্যালয় থেকে ছাড়পত্র দেয়ার হুমকি দিচ্ছেন শিক্ষকরা। ঘটনাটি বিদ্যালয় ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি মনজুর আলম হিরন মৃধাকে অবহিত করা হলেও তিনি কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করেননি।’ চুল কাটার অভিযোগ অস্বীকার করে শিক্ষক কামরুল হাসান বলেন, ‘শিক্ষক হিসেবে ছাত্রদের একটু শাসন করতেই পারি। তাই রাকিবকে চুল কাটার জন্য বকেছি। এরপর সে সেলুনে গিয়েই চুল কেটেছে।’ বিদ্যালয় ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি মনজুর আলম হিরন মৃধা বলেন, ‘দশম শ্রেণির ছাত্র রাকিব বখাটে প্রকৃতির। সে শিক্ষকদের মান্য করে না। এছাড়া চুল কাটার কোন অভিযোগ আমি পাইনি। অভিযোগ পেলে অবশ্যই তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হত।’

আমাদের ফেসবুক পাতা

© All rights reserved © 2018 DailykhoborBarisal24.com

Desing & Developed BY EngineerBD.Net